রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান

বাংলাদেশ

আইপিআইয়ের বিবৃতি

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান

প্রথম আলো ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২২, ০১: ৪৭

অ+অ-

 

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত বছর এই পুরস্কার পান রোজিনা ইসলাম

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত বছর এই পুরস্কার পান রোজিনা ইসলামছবি: ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের টুইট থেকে নেওয়া

প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই)। মঙ্গলবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বুধবার রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হবে। তার আগে দেওয়া বিবৃতিতে আইপিআই বলেছে, ঔপনিবেশিক আইনের আওতায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা চালানো বাংলাদেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সাংবাদিকের মূল কাজ হলো যেকোনো অন্যায় খুঁজে বের করে তা প্রকাশ করা। ক্ষমতা কাঠামোর বিরুদ্ধে গিয়ে সত্য উচ্চারণ করা। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে রোজিনা ইসলাম তাঁর কাজের জন্য নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছেন।

বিবৃতিতে আইপিআইয়ের উপপরিচালক স্কট গ্রিফেন বলেন, ‘আইপিআই বাংলাদেশ সরকারকে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অসংগতিপূর্ণ অভিযোগ প্রত্যাহার এবং তাঁকে হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়েছে।’

এর আগে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিবৃতি দিয়েছিল ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠন। তারা বলেছিল, খ্যাতিমান এই বাংলাদেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক ‘সেরা অদম্য সাহসী’ হিসেবে ২০২১ সালের ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। যে আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই অফিশিয়াল সিক্রেটস আইন ঔপনিবেশিক আমলের। এটি বর্তমান যুগের উপযোগী নয়। তাঁর ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ওই ১৫টি সংগঠনের একটি আইপিআই।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাভিত্তিক সংগঠন আইপিআই হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক, নির্বাহী ও নেতৃস্থানীয় সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক, যারা মানসম্পন্ন ও স্বাধীন সাংবাদিকতার বিকাশে কাজ করে।

বাংলাদেশের সরকারের দুর্নীতি ও মহামারি মোকাবিলার অব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিবেদন করেছেন রোজিনা ইসলাম। ২০২১ সালের ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁকে আটক করা হয়। সেখানে তাঁকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। পরে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা দেওয়া হয়।

আইপিআই বলেছে, এই আইন ঔপনিবেশিক আমলের। এটি বর্তমান যুগের উপযোগী নয়। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের একটি আইনের ব্যবহার রোজিনা ইসলামের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা হিসেবেই প্রতীয়মান হয়।