‘দ্য ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’–এর জন্য মনোনয়ন পেলেন রোজিনা ইসলামসহ তিন সাংবাদিক

‘দ্য ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’–এর জন্য মনোনয়ন পেলেন রোজিনা ইসলামসহ তিন সাংবাদিক

প্রথম আলো ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ২১: ৫৫

 

অ+অ-

 

রোজিনা ইসলাম, ওমর রাদি ও রামান ভাসিউকভিচ

রোজিনা ইসলাম, ওমর রাদি ও রামান ভাসিউকভিচছবি: সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে ‘সাহসী সাংবাদিক’ হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। তাঁর সঙ্গে এই ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁরা হলেন মরক্কোর ওমর রাদি ও বেলারুশের রামান ভাসিউকভিচ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে মনোনীত সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা এবং স্বাধীনভাবে তথ্য প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিকদের স্বীকৃতি হিসেবে এই ‘দ্য ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর দুটি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েকজন সাংবাদিককে মনোনীত করা হয়েছে। অন্যটি হলো নবাগত ক্যাটাগরি।

আগামী ২ নভেম্বর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সাহসী সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে বিজয়ীকে দেওয়া হবে ৭ হাজার ৫০০ ইউরো। সেরা নবাগত সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে বিজয়ী পাবেন ১ হাজার ৫০০ ইউরো।

এ বছরের সেরা নবাগত সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছেন ভারতের ভাট বুরহান, মিয়ানমারের আয়ে মিনত থানত ও অ্যাঙ্গোলার ইসরায়েল গ্রাসা ক্যাম্পোস। এই সাংবাদিকেরা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও কাজ করে জনসাধারণের জন্য দুর্দান্ত প্রেরণা ও প্রতিভার নজির সৃষ্টি করেছেন।

মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকেরা কয়েক বছর ধরে যেসব বিপদের মধ্যেও লড়াই করেছেন, তারই প্রতিনিধিত্ব করেন সাহসী সাংবাদিকের ক্যাটাগরিতে মনোনীত হওয়া তিন সাংবাদিক। তাঁরা দৃঢ়তা ও সাহসিকতার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে গেছেন। এই তিনজনই তাঁদের কাজের জন্য হামলার শিকার হয়েছেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত মে মাসে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে প্রায় ছয় ঘণ্টা হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি। কিন্তু তাঁর পাসপোর্ট ও প্রেসকার্ড জব্দ করেছে পুলিশ।

ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের দেওয়া তথ্যমতে, সাহসী সাংবাদিকের ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পাওয়া মরক্কোর ওমর রাদি এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন। দেশটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসমতা নিয়ে অনেক কেলেঙ্কারির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন তিনি। জনগণকে সেবা দিতে সরকারের অস্বীকৃতি ও বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লোক দেখানো বিচারের মাধ্যমে তাঁর ছয় বছরের সাজা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

বেলারুশের রামান ভাসিউকভিচ দেশটির কারেন্ট টাইম টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক। গত বছর বেলারুশের ব্যাপক কারচুপি হওয়া নির্বাচন নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছেন তিনি। মারধর, গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং সহিংসভাবে দেশবাসীকে আক্রমণ করার ছবি প্রকাশ করায় তাঁকে নির্বাসনে বাধ্য করা হয়েছিল। ইউক্রেনে নির্বাসনে গিয়েও নিজের কাজ অব্যাহত রেখেছেন রামান।